বিসিকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)
১৯৫৭ সালে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে ‘ইপসিক’ আইন পাশ করা হয়। স্বাধীনতার উত্তরকালে ১৯৭২ সালে পুনরায় এই আইন পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) নামকরন করা হয়। বিসিক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি খাতের মূখ্য প্রতিষ্ঠান। বিসিক সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে উন্নয়নমুখী ও জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে এবং বাংলাদেশকে শিল্প সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিসিক এর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর ফলে বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশে নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠেছে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মূল উদ্দেশ্য
- উৎপাদন বৃদ্ধি (ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতার সদ্ধব্যবহার ও নতুন উৎপাদন ক্ষমতা সৃষ্টি)
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি
- দারিদ্র্য বিমোচন
- ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়ন
- অর্থ ও মানব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ
- দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন
উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম
- মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগপূর্ব ও বিনিয়োগোত্তর সেবা প্রদান তথা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন ;
- বিসিকের নিজস্ব ঋণ কর্মসূচি ও সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনাসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ঋণ ব্যবস্থাকরণ ও বিতরণে সহায়তাকরণ ;
- পরিবেশবান্ধব ও স্থায়ী অবকাঠামো বিশিষ্ট (রাস্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি সুবিধা সম্বলিত) শিল্পনগরী ও শিল্পপার্ক স্থাপন এবং বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের শিল্প স্থাপনের জন্য প্লট বরাদ্দ দান ;
- দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান ;
- শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পণ্য বিপণনের লক্ষ্যে মেলা, সেমিনার, কর্মশালা ও ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলন আয়োজন ;
- উদ্যোক্তাদের শিল্প স্থাপন উপযোগী প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন ও মূল্যায়ন, প্রজেক্ট প্রোফাইল প্রণয়ন, উন্নতমানের নকশা উদ্ভাবন ও বিতরণ ;
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ইউনিট স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, মানোন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে কারিগরি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা সমীক্ষা এবং জরিপ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা।
- বৃহৎ শিল্পের খুচরা যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী সাব-কন্ট্রাক্টিং ইউনিট তালিকাভুক্তিকরণ এবং বৃহৎ শিল্পের সাথে তালিকাভুক্ত ইউনিটের সাব-কন্ট্রাক্টিং সংযোগ স্থাপন ;
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের উপযোগী যথাযথ প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ বিশেষত বিনিয়োগ, উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত ধারণা প্রদান করা ;
- উন্নত পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নির্ভর লবণ উৎপাদনে লবণ চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান ;
- শিল্পপ্লটের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে খালি/অব্যবহৃত প্লট বরাদ্দের নিমিত্ত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ, প্লট বরাদ্দ কমিটির সভা আয়োজন, রুগ্ন/বন্ধ প্লটের বরাদ্দ বাতিলকরণ ও সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তার অনুকূলে প্লট বরাদ্দকরণ।
নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম
- ক্ষুদ্র, কুটির, মাইক্রো ও মাঝারি শিল্পের নিবন্ধন;
- কর অবকাশ, কর, শুল্ক ইত্যাদি মওকুফ বিষয়ে সুপারিশ প্রদান;
- শিল্পের কাঁচামাল ও মোড়ক সামগ্রী আমদানীর ক্ষেত্রে প্রাধিকার নির্ধারণে সুপারিশ প্রদান;
- আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন শিল্পের নিবন্ধন ও
- সাব-কন্ট্রাকটিং সংযোগ স্থাপন।
উদ্যোক্তা/ জনগণের জন্য বিসিকের সমস্ত সেবা বিসিকের মাঠ পর্যায়ের সকল জেলা কার্যালয়সহ বিসিকের প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় (আঞ্চলিক)কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে । বিসিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন: https://bscic.sylhet.gov.bd/